কথায় বলে সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। পুণ্যলাভের আশায় প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ-লক্ষ পুণ্যার্থী ভিড় জমান গঙ্গাসাগরে। বাংলা তো বটেই সাগরমেলায় দেখা মেলে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান, গুজরাত থেকে আসা বহু মানুষের। প্রতি বছর গঙ্গাসাগর মেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। তবে এবার করোনাকালে সেই চেনা ছবি উধাও। ভিড়ের চাপ এবার অনেকটাই কম।বৃহস্পতিবার মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান। পুণ্যার্থীদের জন্য পুরোদস্তুর তৈরি সাগরতট। রয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী, নৌবাহিনী ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সাগরের পাড়জুড়ে চলছে প্যাট্রলিং। পাশাপাশি, যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য মহড়াও চলছে। মেলা প্রাঙ্গনে তৈরি করা হয়েছে মেগা কন্ট্রোল রুম। বাবুঘাট থেকে সাগর পর্যন্ত প্রায় ১১০০ সিসি ক্যামেরার মাধ্যেম নজরদারি চালানো হচ্ছে। কোভিড পরিস্থিতিতে ভিড়ের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। এই মেলায় গিয়ে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে দলবদল নিয়েও প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দলবদলের পর মানুষের কাছে তাদ্র প্রাসঙ্গিকতা অনেকটাই কমে যায়। যদি কোন নৈতিক কারণ না থাকে।এবার অনলাইনে দেখানো হবে গঙ্গাসাগর মেলা। হাইকোর্টের পরামর্শ মতো থাকবে ই-স্নানের ব্যবস্থাও। দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে অনলাইনে অর্ডার করা যাবে গঙ্গাসাগরের জল। গঙ্গাসাগারের পবিত্র জল ও প্রসাদ বাড়ি বসেই পেয়ে যাবেন পুণ্যার্থীরা। যে সকল পুর্ণ্যার্থীরা গঙ্গাসাগরে আসবেন তারা সকলেই যেন মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করেন সেই আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
