অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের পরিবেশটা বেশ অন্যরকম। সমগ্র বিশ্ব লড়াই করে চলেছে করোনা নামক অতিমারির সাথে। প্রয়োজনীয় সুরক্ষা বজায় রেখেই এবারের বাঙালির শ্রেষ্ঠ উত্সব দূর্গাপুজো পালিত হবে। এবছর পুজোয় কলকাতায় থাকছে না জাঁকজমক, থাকছে না কোলাহল। তবে সমস্ত নিময় মেনেই হচ্ছে বাঙালির প্রাণের পুজো। দূর্গাপুজোয় নির্দিষ্ট কি কি নিয়মবিধী রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে তা একবার জেনে নেওয়া যাক-
১.খোলামেলা প্যান্ডেল পরিবেশ- এবছর নির্দিষ্ট ভিতর এবং বাহির যাওয়ার গেট তৈরি করতে হবে এবং প্যান্ডেলের পরিবেশ যথাসম্ভব খোলামেলা রাখতে হবে।
২.মাস্ক এবং স্যানিটাইজার- প্রত্যেক দর্শনার্থীদের এবং পুজো কর্তৃপক্ষের কাছে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার থাকা বাধ্যতামূলক।
৩.ভলেন্টিয়ার্স-প্রত্যেকটি পুজো কমিটিকে ভলেন্টিয়ার্স রাখতে হবে। তারা সুরক্ষাবিধী মেনে লাইন তৈরি করে দর্শনার্থীদের প্রতিমা দর্শনের সুযোগ করে দেবে।
৪.সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান- করোনাকালে কোন রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না।
৫.বিচার বিভাগ- বিভিন্ন কমিটির পুজোগুলি বিচার করা হবে ভার্চুয়ালি। অথবা মন্ডপে বিচারকগণ এলেও তা নির্ধারিত সময়ে আসতে হবে।
৬.উদ্বোধন এবং বির্সজন- দূর্গাপুজোর উদ্বোধন অনুষ্ঠান যথা সম্ভব ভার্চুয়ালি করতে হবে। সাথে প্রতিমা বিসর্জনও করতে হবে কম সংখ্যক মানুষের সাহায্যে।
৭.অনুমতি পত্র- পুজো করার জন্য যে অনুমতি পত্রের প্রয়োজন তা অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
৮.কার্নিভাল- পুজোর শেষে এবছর কোন কার্নিভালের আয়োজন করা হবে না।
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশিত বিভিন্ন সাহায্য এবং বিনামূল্যে পরিষেবার কথা আগেই ঘোষনা করা হয়েছে।
