বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশ্বভারতীর শতবর্ষের অনুষ্ঠানে নিজের ‘আত্মনির্ভর ভারতে’র চিন্তাধারা আর কবিগুরুর বিশ্বজনীন উন্নয়নের ভাবধারাকে মিশিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর মুখে এদিন উঠে আসে ক্ষুদিরাম বোস, প্রফুল্ল চাকী, বীণা দাস, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারদের নাম। তাঁর কথায়, “এঁদের আদর্শের কথা মাথায় রেখে আমাদের আত্মনির্ভর ভারতের সেই লক্ষ্যে বাঁচতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, গুজরাটের সঙ্গেও রবীন্দ্রনাথের গভীর সম্পর্ক। গুরুদেব বহুবার গুজরাটে গিয়েছেন। সেখানেই তিনি দুটি বিখ্যাত বাংলা কবিতাও রচনা করেছেন। এছাড়াও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ও বিশ্বভারচতী একসূত্রে গাঁথা এই কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী। পৌষমেলার সঙ্গে ‘ভোকাল ফর লোকাল’ স্লোগান একেবারে পরিপূরক বলেও মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী। এবারে মহামারীর জন্য পৌষমেলায় যে শিল্পীরা আসতে পারেননি, বিশ্বভারতীর ছাত্রদের তাঁদের পাশে থাকতে অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। পড়ুয়াদের পরামর্শ দেন, অনলাইনে এই শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। তাঁদের শিল্পকর্মকে গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে। যাতে এই শিল্পীরা সম্মান পান।
এদিকে, বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উপলক্ষে টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একশো বছর বছর পূর্তি। শিক্ষার এই মন্দিরে আদর্শ মানুষ তৈরির চেষ্টা শুরু করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। আমাদের উচিত এই মহান দার্শনিকের ভাবধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
