আজ সাত জানুয়ারী ২০২১ তৃণমূল ভবনে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে স্মরণ করা হয় ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারী নন্দীগ্রামে যাঁরা শহীদ হয়েছেন। পাশাপাশি ৭ জানুয়ারী ২০১১ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের নেতাইয়ে যাঁরা প্রাণ দিয়ে শহীদ হয়েছিলেন তাঁদেরকে স্মরণ করা হয়। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলের রাজ্য মহিলা সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এদিন সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই নন্দীগ্রামের শহিদদের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি মনে করিয়ে দেন, নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুর মানুষের পাশে সব সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন।‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি কাজের জটিল প্রক্রিয়া থেকে রাজ্যবাসীকে মুক্তি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর ফলে সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্প নিমেষে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। এই কর্মসুচী কারও পক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়। এই সরকার মানুষের সঙ্গে রয়েছেন এবং আগামী দিনেও থাকবেন।ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির পায়ের তলার মাটি ক্রমশ আলগা হচ্ছে বলে দাবি করেন চন্দ্রিমা। তিনি জানান, সামগ্রিকভাবে বিজেপির ভোট ৬৬ শতাংশ কমেছে। তিনি বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির ভোটের হারের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দাবি করেন, ২০১১ সালে তৃণমূল এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর কৃষকদের উপার্জন তিন গুণ বেড়েছে। ”অন্য রাজ্যে শস্যবিমার প্রিমিয়াম দিতে হয় কৃযকদের। কিন্তু আমাদের রাজ্যে বাংলার সরকার এই প্রিমিয়াম দেয়। ২০২২ কেন ২০২৮-এর আগে কখনওই কৃষকদের উপার্জন দ্বিগুণ হতে পারবে না বলে জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিকে বাংলার কৃষকদের উপার্জন তিন গুণ বেড়েছে তৃণমূল আসার পর। কৃষক বন্ধু স্কিম আমাদের মুখ্যমন্ত্রী চালু করেছে। সেখানে শুধু প্রান্তিক বা ছোট চাষি নয়, সবাইকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
