আজ মকর সংক্রান্তি। গঙ্গাসাগরে চলছে পুণ্যার্থীদের স্নান। কথায় আছে সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। বহু পুণ্যার্থীরা বছরভর মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানের জন্য মুখিয়ে থাকেন। সকাল ৬টা থেকে তিথি অনুযায়ী শুরু হলো মকর সংক্রান্তির পূণ্য স্নান। প্রশাসনিক নির্দেশ মেনেই বঙ্গোপসাগরে স্নান সেরে পুণ্যার্থীরা গঙ্গাসাগরের কপিল মুনি মন্দিরে পূজো দিচ্ছেন।কিন্তু এই বছর পুরোপুরি আলাদা, কারণ সব ক্ষেত্রেই এবার বাঁধ সেধেছে করোনা। নিউ নর্মালে মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে পুণ্যার্থীদের ভিড় অন্যান্য বারের তুলনায় অনেকটাই কম। ভিন রাজ্য থেকে যে পুণ্যার্থীরা প্রতিবছর আসেন, এবার তাদের সংখ্যাও কম। ফলে গঙ্গা সাগর অনেকটাই ফাঁকা। তবে প্রশাসনের তরফ থেকে নিরাপত্তার ব্যাবস্থা চোখে পরার মতন। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে গঙ্গাসাগরে স্নানের অনুমতি দেওয়া হয়। জলে ডুব দিয়ে সমুদ্রে স্নানের অনুমতি দিলেও, ই-স্নানের উপরেই জোর দিতে বলেন প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণণ এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। পাশাপাশি গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গন ও বাবুঘাটে মেলার মাঠকে কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করার আর্জি জানানো হয়। সাগরের জল বদ্ধ নয়, বহমান। সেক্ষেত্রে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা অনেক কম বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
