শুক্রবার রাতে উত্তর চব্বিশ পরগনার আমডাঙায় গুলিতে খুন হয় একই পরিবারের দুই যুবক। খুনের অভিযোগ এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত বিধাননগরের এডিশনাল ডিসির দেহরক্ষী সন্তোষ পাত্র নিজের সার্ভিস রিভলবার দিয়ে খুন করে পলাতক। জানা যায়, নিহতেরা সম্পর্কে দুই ভাই। মৃতদের নাম সুমন্ত মন্ডল ও অরূপ মন্ডল। চাষবাসের সাথে যুক্ত মধ্যতিরিশের যুবকেদের বাবার মাছের ব্যবসা রয়েছে। তিনিও আহত হন। এলাকাবাসীর প্রাথমিক অনুমান, দুই ভাই সম্পত্তিগত কারণে খুন হয় পুলিশকর্মী সন্তোষ পাত্রের হাতে। ঘটনার প্রকাশ শুক্রবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ, আমডাঙ্গার তেঁতুলিয়াতে এই গুলিচালনায় ঘটনাটি ঘটে। জানা গেছে, প্রথমে বাজির শব্দ ভাবলেও তেঁতুলিয়ার ঠাকুরতলায় এসে এলাকাবাসীরা চাপ চাপ রক্তের পাশে নিথর দেহ দুটির শরীরে গুলির দাগ দেখতে পায়। এলাকাবাসীরাই আমডাঙ্গা থানায় খবর দেয়। রক্তাপ্লুত দুই যুবককে বারাসাত হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তাদের একজনকে সঙ্গে সঙ্গে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। অপরজন অল্প সময়ের ব্যবধানে চিকিৎসা শুরুর আগেই মারা যান। বারাসাতের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় ফোনে জানান, জোড়াখুনের অভিযোগ জমা পড়েছে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। তার সন্ধানে তল্লাশি জারী আছে। যদিও খুনের সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। অন্যদিকে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলার পর সাংবাদিকদের জানান মৃত অরূপ মন্ডল ও সুমন্ত মন্ডলের পরিবারকে ৫ লক্ষ করে টাকা দেবেন এবং আহতকে দু লক্ষ টাকা দেবার ব্যবস্থা করবেন। এবং অবিলম্বে অভিযুক্তের গ্রেফতারের দাবি তোলেন সাংসদ।