সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা মাটিকুমড়া এলাকায় এক ব্যক্তির দেহে করোনাভাইরাস এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়।তারপর থেকে প্রায় ১৩ দিন কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে গ্রামটিকে। ঘোষণার প্রথমদিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয় এলাকার কোন মানুষ বাইরে বেরোতে পারবে না। তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সব কিছুই সরকারের পক্ষ থেকে পৌঁছে দেওয়া হবে। গ্রামবাসীদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য ইছাপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ তারপর থেকে কোন জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনের লোক কেউ তাদের খবর নিতে যাননি। একবার মাত্র অল্প কিছু রেশন পেলেও আর কোনো পরিষেবাই তারা পাচ্ছেন না। ফলে খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে তাদের ঘরে। ফুরিয়ে গেছে ওষুধ পত্র। বারবার কন্ট্রোল রুমে ফোন করেও কোনো পরিষেবা মিলছে না এমনটাই দাবি গ্রামের বাসিন্দাদের। যার ফলে ক্ষোভ বেড়ে চলেছে সাধারন মানুষের মধ্যে। একই অভিযোগে সরব হলেন বনগাঁ লোকসভার বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।ইছাপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে প্রশাসনের দায় বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি। তিনি আরও বলেন আমার তরফ থেকে যতটা সম্ভব আমি করছি। এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি গাইঘাটার বিডিও ও এসডিও।