বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভার অধীন মল্লিকপুর পঞ্চায়েতের পাঁচঘড়া এলাকায় কয়েকদিন আগেই এক করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল। ওই ৫৫ বছরের ব্যাক্তি কলকাতার বেসরকারি নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন। তারপরেই পঞ্চায়েত ও পুলিশের পক্ষ থেকে ওই এলাকা কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়। এলাকা সিল করে দেওয়া হয়। এরপরেই মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটার পরে রিতিমত লকডাউন উপেক্ষা করে চায়ের দোকান খুলে আড্ডা বসিয়েছিল জনাকয়েক যুবক। এই জমায়েত সরিয়ে চায়ের দোকান বন্ধ করতে বলে টহলরত বারুইপুর থানার পুলিশ। অভিযোগ, এরপরেই পুলিশের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়ে এলাকার লোকজন। পুলিশ বার বার বোঝালেও কোন কাজ হয় না। এরপর পুলিশের উপর হামলা চালানো হয়। পুলিশের গাড়ি আটকে ব্যাপক ইট বৃষ্টি শুরু হয়। গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়। এমনকি পুলিশকে রাস্তায় ফেলে মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ।পুলিশের উপর সোডার বোতল, আমকাঠ নিয়ে আক্রমণ করা হয়। এসআই ধনঞ্জয় মুখোপাধ্যায় সহ ৫ জন সিভিক পুলিশ কর্মী গুরতর আহত হয়। তাঁদের কারুর মাথা ফাটে, কারুর পায়ে, হাতে চোট লাগে।পুলিশ পালিয়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নেয়। খবর যায় বারুইপুর থানায়। আইসি দেবকুমার রায়, এসডিপিও অভিষেক মজুমদারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনি ঘটনাস্থলে যায়। নামানো হয় র্যাফ। এরপর পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ১৮ জনকে গ্রেফতার করে। তাদেরকে দুপুরে বারুইপুর আদালতে তোলা হয়।