ভূমি টিভি ডেস্ক : করোনা আতঙ্কের মাঝেই এবার আমফান ঘূর্ণিঝড শক্তি বাড়িয়ে যা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছিল। এই আমফানের ঝাপটায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল দিঘা, মন্দারমণি, সুন্দরবনের সমুদ্র সৈকত এবং উপকূলবর্তী এলাকায়। প্রায় এক মাস হতে চলল। কিন্তু বহু গ্রাম এবং মফঃস্বলে এখনও পড়ে আছে আমপানের তাণ্ডবের চিহ্নগুলো। এখনও ভাঙা বাঁধ। এখনও মুখ থুবড়ে পড়া বিদ্যুতের খুঁটি মাথা তুলে দাঁড়ায়নি। ঝড়ের পর থেকেই অন্ধকারে ডুবে সারা বাংলার বহু অংশ। আমফান – যে ঝড় কেড়ে নিয়েছে বহু মানুষের ঘর ,খাদ্য , সাধারণ জীবনধারণের প্রয়োজনটুকু ও ।

যার ফলে বিধ্বস্ত হয়েছে বহু গ্রাম এবং মফঃস্বল । কিন্তু আমফান বিধ্বস্ত বিভিন্ন গ্রামের অসহায় মানুষগুলোকে দেখে আর ঠিক থাকতে পারেননি ফিনিক্স গ্রূপ এর সদস্যরা।আমফান বিধ্বস্ত বিভিন্ন গ্রামের প্রান্তিক মানুষদের স্বার্থে ছুটে এসেছেন সাহায্যের হাত বাড়াতে।

তবে এমনি বিধ্বস্ত এলাকার কিছু মানুষকে চাল, ডাল ,নুন ,তেল ,সয়াবিন ,সাবান ,সার্ফ প্রভৃতি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস এবং সামগ্রী দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে ফিনিক্স নামে একটি গ্রূপ। যারা বিগত পাঁচ বছর ধরে সামাজিক কাজকর্ম করে চলেছে ।

ফিনিক্স এই গ্রূপ পাথরপ্রতিমা থানার অন্তর্গত দক্ষিণ শিবগঞ্জ গ্রামে যেখানে আমফানের ফলে বকচড়া নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়ে পড়েছে এবং বহু চাষের জমি নষ্ট হয়ে গেছে ।গ্রামবাসীরা সেখানে ত্রিপল খাটিয়ে প্রহর গুনছে ।এই দল সেখানে প্রতি সদস্য ১ কেজি করে চাল দিয়েছে এবং সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী চালের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। দলের সদস্য সুতপা মুখার্জি বলেন, আম্পানে এটা তাদের দ্বিতীয় প্রকল্প , এবং এই দলে ১৫০০ র বেশি সদস্য আছেন যারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে চলেছে।

তবে শুধু আমফান নয় , করোনাতেও তারা কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। এমনকি পুরীতে ল্যাপ্রসি নামক কলোনিতে তারা ট্রিটমেন্টের খরচ দিয়েছে। মালদার আদিবাসীদের পোশাক-আশাক এবং খাবারের যোগান দিয়েছে । গ্রূপ এর চেয়ারম্যান শ্রাবণী ব্যানার্জির বক্তব্য কলকাতার বিভিন্ন বৃদ্ধাশ্রমে তারা পিতৃদিবস এবং মাতৃদিবসে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সাথে সময় কাটিয়েছেন এবং সাধ্যমত অনুদান দিয়েছেন। এমনকি তারা এও বলেছেন যে ভবিষ্যতেও তারা সমাজকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চান।