নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: লকডাউনকে ঘিরে প্রত্যেক চাকুরিজীবীর মধ্যে নিজেদের চাকরি নিয়ে চলছে দুশ্চিন্তা। কিন্তু সেই সমস্ত দুশ্চিন্তার প্রশ্নকে তুচ্ছ করে জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নিজেদের ছাত্রছাত্রীদের স্বপ্নভঙ্গ হতে দিলোনা। বর্তমানের মতন সামাজিক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে যা প্রায় অসম্ভব, তাই করে দেখালো জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, কারিগরী শিক্ষায় শিক্ষিত ছাত্রছাত্রীদের চাকরির বজারে প্রবেশ করিয়ে দিতে সাহায্য করল।
এই লকডাউনের মধ্যেও ৪০ টিরও বেশি স্বনামধন্য সংস্থায় চাকরিতে প্রবেশ করার জন্য ৭০ টিরও বেশি সেন্টারে অনলাইন ক্যাম্পাসিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে ডাকা হবে এই সমস্ত কোম্পানির বিখ্যাত রিক্রুটারদের।
বর্তমান এই পরিস্থিতিতে চাকরি খাওয়ানোর সময়ে সাধারণ মানুষ যেভাবে ভীত হয়ে রয়েছে সেই সময়ে দাঁড়িয়েও জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট তাঁদের ছাত্রছাত্রীদের জীবন গড়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। “জীবন গড়ে দেয়” কথাটি কেবল তাঁদের ট্যাগলাইনই নয়, তাঁদের মূল উদেশ্যও, এটি এই উদ্যোগের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো। তাই জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট সবার কাছেই নির্ভরযোগ্য ভরসার জায়গা।
এয়ার কুল এএসপি অফ ভোল্টস, হিতাচি, প্যানাসনিক, সাইনোসর হিরো, এএসপি অফ মোটরকপ, এয়ার ফ্রিজ, টোটাল আইটি সলিউশন, রাজগরিয়া মোটরস, এএসপি অফ অশোক লেল্যান্ড, এস কে অটো মোবাইল, এএসপি অফ টাটা মোটরস, সুশ্রী মোটরস, এএসপি অফ মাহীন্দ্রা ফার্স্ট চয়েস এবং এরকম প্রায় আরো ৫০ বিখ্যাত কোম্পানি থেকে রিক্রুটাররা জর্জ টেলিগ্রাফের বিভিন্ন সেন্টারে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বললেন অনলাইন ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে। তাঁদের মধ্যে থেকে রিক্রুটারদের বিচারে যোগ্য ছাত্রছাত্রীরা নির্বাচিত হবেন উক্ত কোম্পানিগুলিতে যোগদান করার জন্য। নির্বাচিত ছাত্রছাত্রীরা তাদের চতুর্থ সেমিস্টার শেষ হলে যোগ দেবেন কোম্পানি গুলিতে।
মাহীন্দ্রা ট্র্যাকটার্স এর তরফ থেকে রিক্রুটিং অফিসার তথা এইচ আর হেড তন্ময় মুখার্জী ক্যাম্পাসিং এ উপস্থিত অবস্থায় জানান ” লকডাউনের মধ্যে জর্জ টেলিগ্রাফ যে ভাবে এই সময়ে চাকরির জন্য ইন্টারভিউ এর ব্যবস্থা করেছেন তা অত্যন্ত প্রশংসিত। বিশেষ ভাবে অটো মোবাইল সেক্টরে যে ভাবে জর্জ টেলিগ্রাফ বছরের পর বছর এই কাজটি করে চলেছে, আমাদের সংস্থায় যখনই কোনো নতুন রিক্রুটের প্রয়োজন হয়, তখনই আমরা সবার প্রথমে জর্জ টেলিগ্রাফের নাম নিই”।
জর্জ টেলিগ্রাফের অটোমোবাইলের চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র অভীক মালির জানান ” লকডাউনের মধ্যেও আমাদের অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা ছিল। শুধু তাই নয়, এর মধ্যেও আমাদের চাকরির জন্য অনলাইন চাকরির ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভর্তির সময় শুনেছিলাম দ্য জর্জ টেলিগ্রাফ জীবন গড়ে দেয়, লোকডাউনের মধ্যেও চাকরির পরীক্ষা দিতে পেরে মনে হচ্ছে যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে জীবন গড়ে দিতে পারে”।
