আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে শাসক বিরোধীদলের তরজা চলছেই। যে কোনভাবেই বিরোধী দল শাসকদলের ওপর দোষ চাপাচ্ছে আবার শাসক দল বিরোধী দলের ওপর এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের। আমফানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে টাকা পাঠিয়েছে। তা রাজ্যের শাসকদলের লোকেরা লুঠ করছে বলে এবার মন্তব্য করলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং।আমফানের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করে এই বিষয়ে অভিযোগও জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।এদিকে আমফান বিপর্যয়ের পর ধীরে ধীরে সামলে উঠেছে রাজ্য। কিন্তু বিরোধীদের তোপ, আমফান দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য সরকার। এই নিয়ে বেশ কিছুদিন আগে বিরোধীদের কটাক্ষেরও জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান ‘আমফান বিপর্যয়ের পর রাজ্যকে স্বাভাবিক করার যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে। ৯০ শতাংশ স্বাভাবিক হয়েছে রাজ্য।’ পাশাপাশি কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্য নিয়েও মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল ঘুরে দেখে গিয়েছে ক্ষয়ক্ষতি। মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে ওদের। বাকি টাকা কবে দেবে ওরাই জানে। ১০০০ কোটি টাকা অ্যাডভান্স দিয়েছিল মাত্র।অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ যেন বঞ্চিত না হয়। এক লক্ষ মানুষের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছানোর হিসাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেই টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পাঁচ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে গিয়েছে তাঁদের বাড়ি সরানোর টাকা। ২৩ লক্ষ কৃষক পেয়ে গিয়েছেন তাঁদের শস্যের ক্ষতিপূরণের অর্থ। দুই লক্ষ পান চাষির হাতেও পৌঁছেছে তাঁদের ক্ষতিপূরণ।করোনা থেকে আমফান ঝড়। পরপর বিপর্যয়। কোনওরকম আয় ছাড়াই তা সামলাতে হচ্ছে বলে বারবার বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কোনওভাবেই কোনও কিছুর সঙ্গে আপস করেননি। লকডাউনে দেশের অর্থনীতির ধাক্কা সামলাতে ও পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা ভেবে একাধিক প্রকল্প ও অনুদান ঘোষণা হয়। কিন্তু সেসব কোনওভাবেই গরিব মানুষের পকেটে পৌঁছবে না বলে সমালোচনা শুরু হয় দেশজুড়ে। তার মধ্যেই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরও বিরোধীদের সমালোচনা থেমে থাকেনি।সোমবার অর্জুন সিং আবারো আমফানে ক্ষতিগ্রস্তরা টাকা পাচ্ছেনা বলে তোপ দাগেন শাসকদলের বিরুদ্ধে।