সারা বছরের উপার্জন করা টাকা জমিয়ে রেখে একটি পোল্ট্রি ফার্ম করেছিলেন যুবক। কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল তার ফার্ম তৈরি করতে। এক রাতের আমফানের দাপটে সব শেষ হয়ে গেল। শুধু তাই নয় মারা গেল ফার্মে চাষ করা কয়েক হাজার মুরগি। এখন সর্বস্বান্ত যুবক। এমন ভাবেই ঘূর্ণিঝড় আমফান সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে বহু মানুষকে, মাথার উপরের ছাঁদ টুকুও কেড়ে নিয়েছে অনেকের। নদীয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়ার বাসিন্দা মিঠুন বসাক। তার অন্য কাজে উপার্জন করা টাকা দিয়ে সাত বছর আগে থেকেই শুরু করেন পোল্ট্রি মুরগি চাষ করা। লক্ষাধিক টাকা খরচ করে তিনি কয়েকটি ঘর তৈরি করেছিলেন। ঘর গুলিতে মুরগি ছিল ভর্তি। কিন্তু এক রাতেই সব স্বপ্ন শেষ। সারা জীবনের উপার্জন করা টাকা ধুলিস্মাৎ হয়ে গেল আমফানের ছোবলে। ঝড়ের দাপটে ভেঙে গেল গোটা পোল্ট্রি ফার্মটি। ফার্মে যা মুরগি ছিল সেগুলো সব মারা গেছে। প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়ে এখন সর্বস্বান্ত ওই পোল্ট্রি চাষী। এই অবস্থায় ওই যুবককে দাবি সরকার যদি কিছুটা সাহায্য করে তাহলে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে সে। না হলে কিভাবে আগামী দিন চালাবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাত কাটছে তার।